নিমগাছ
আপনার বাড়ির চারপাশে তাপমাত্রা কমিয়ে তৈরি করে একটি প্রাকৃতিক "মাইক্রোক্লাইমেট", যেখানে গরম কম, বাতাস ঠান্ডা আর নিঃশ্বাসটা অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক।
নিমগাছের ছায়াতলে তাপমাত্রা বাইরের তুলনায় ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম থাকতে পারে। আর এটা শুধু গরম ঠান্ডা নয়, নিমগাছ হলো প্রকৃতির এক পরিবেশদূত।
এটি:
প্রচুর সীসা (lead) শোষণ করে, যা শিশুর মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ধূলিকণা, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড—এই সব ক্ষতিকর গ্যাসগুলো নিঃশব্দে শুষে নেয়।
এমনকি বায়ু দূষণের মাত্রা কমিয়ে আপনার ও পরিবারের ফুসফুসকে বাঁচায়।
এখন ভাবুন, যদি আপনার বাড়ির চারদিকে ৩-৪টা নিমগাছ থাকে, সেটা যেন একটুকরো সবুজ বেষ্টনী—একটা নিজস্ব বায়ুরক্ষা বলয়।
এই গাছগুলো মিলে আপনার জন্য এমন একটা প্রাকৃতিক এসি সিস্টেম বানিয়ে দেবে, যার কোনো বিদ্যুৎ বিল নেই, কোনো রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নেই—শুধু উপকার আর উপকার।
আর সবচেয়ে বড় কথা—এটা একটা ভবিষ্যতের ইনভেস্টমেন্ট। আজ একটা গাছ লাগান, আগামী ১০-২০ বছর আপনি আর আপনার সন্তানরা এর সুফল ভোগ করবে।
( সংগৃহীত )


Post a Comment